রুমার দুর্গম এলাকা থেকে গলিত লাশ উদ্ধার

purabi burmese market

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে একটি গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালরামচনহ্ বম লারাম (৪৩)। সে বগালেক পাড়ার সাংরিয়াম বমের বড় ছেলে ও পর্যটন স্পট বগালেকে কোটেজ ও খাবার হোটেল ব্যবসা করেন। জনসংহতি সমিতির সক্রিয় সদস্য হওয়ায় তাকে কেএনএফ হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।

আজ শুক্রবার (১০ফেব্রুয়ারী) দুপুরে রুমা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হারমন পাড়া থেকে দার্জিলিং পাড়া যাওয়া পথে পার্শ্ববর্তী রুনতং খুমী পাড়া পাহাড়ে একটি খাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে-রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মোহাম্মদ মনির হোসেন নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাড়াবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বগালেক পাড়া গীর্জায় কীর্তন চলাকালে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএমএফ)র ইউনিফর্ম পরিহিত হাতে অস্ত্র দিয়ে একটি দল গীর্জায় প্রবেশ করে লালরামচনহ বম, তাঁর পিতা সাংলিয়াম বম, স্ত্রী নুজিং বমসহ ৫ জনকে ডেকে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। পরে পিতা ও স্ত্রীসহ পাঁচজনের মধ্যে গভীর রাতে চারজনকে ছেড়ে দিলেও লালরাম বমকে ছাড়েনি। তখন থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না পরিবারের লোকজনের কাছে।

নিহত লালরাম বমের ছোট ভাই লালকিম বম পাহাড়বার্তা’কে বলেন, আজ শুক্রবার সকালে জানতে পারি, একটি গলিত লাশ সন্ধান পাওয়া গেছে, পুলিশের একটি দল লাশ উদ্ধারের যাচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগালেক পাড়ায় নিয়ে আসার পর আমার ভাবী বড় ভাইয়ের লাশ হিসেবে সনাক্ত করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালরাম বম জনসংহতি সমিতি রুমা উপজেলায় সক্রিয় কর্মী ছিল। তথ্য আদান প্রদান করার সন্দেহে লালরাম বমকে তুলে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে লালরামের আত্মীয় স্বজন দাবি, গত তিন চার বছর আগে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সাথে যোগাযোগ নেই।

dhaka tribune ad2

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে বিকেলে থানায় নিয়ে আসা হলেও লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য আগামীকাল জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে, অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।