উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ : ওবায়দুল কাদের

NewsDetails_01

উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খুবই গুরুত্ব পূর্ন। ভারতের সাথে কানেক্টিভিটির কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক প্রসার হয়েছে। সড়ক ও রেল এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি অনেক এগিয়ে গেছে। এই ট্রানজিট সুবিধার জন্য ব্যবসা বাণিজ্যে আমরা উভয়ই লাভবান হচ্ছি। একাত্তরে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধন রচিত হয়েছিল তা পচাঁত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পরবর্তী সময়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস রুপ নেয়। ওই বন্ধুত্বপুর্ণ সর্ম্পক যদি অব্যাহত থাকতো আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি হয়নি।

আজ বুধবার (২৪ মে) রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ঢাকার তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ র্শীষ সন্মেলনে যোগ দিতে আবার সম্ভবত সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন। এরমধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটি আলাচনা হবে। সেটার জন্য ভারতের বিজেপি থেকে আওয়ামীলীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করছি আমরা জুলাই মাসে তাদের এ আমন্ত্রণে যোগ দিতে ভারতে যাবো।দলীয় এ সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

তিনি বলেন, পার্টি টু পার্টি কনট্যাক্ট দরকার পিপল টু পিপল কনট্যাক্টকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য, সেতুবন্ধনের জন্য। দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে ভারতের সাথে আমাদের এ বন্ধুত্বপূর্ন সর্ম্পক।

NewsDetails_03

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার কোন সুযোগ নেই। একইভাবে ভারতও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এধরণের কর্মকান্ডের সুযোগ দিচ্ছে না। দুদেশের মধ্যে এখন যে পারস্পারিক মধুর সর্ম্পক বিরাজমান, দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ আছে।

বাংলাদেশে ভারতের আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী বলেন,আপনারা যদি সেভাবে বিনিয়োগ করেন, তাহলে আমাদের দূরে যাওয়ার দরকার নেই। ঢাকায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা ও সড়ক ও মহা সড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, রামগড় স্থলবন্দর এলাকায় অনুষ্ঠিত রামগড়- হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তর র্ভাচুয়ালি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপজাতীয় শরণার্থী পুর্নবাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ও খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার নাঈমুল হক পিপিএম, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি নাদের খান, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারী, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামালসহ খাগড়াছড়ি জেলা ও পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রামগড়ে স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর ভার্চুয়ালী উন্মোচন করার পর রামগড় কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আকতার হোসেন জিহাদী বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরের সাথে সংযুক্ত বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো- রামগড় ৩৮ কি.মি দীর্ঘ সড়কটি ৫ দশমিক ৫০ মিটার হতে ১১ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্তকরণের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০৭.১২ কোটি টাকা। তন্মধ্যে ভারতীয় ঋণ ৫৯৪.০৭ কোটি টাকা। ১ জুলাই ২০২৩ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন