কাপ্তাইয়ে মাল্টা বাগানে ভাগ্য বদল কৃষক জসিমের

NewsDetails_01

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া কৃষি ব্লকের হাতিমারা মুখ। ঐ ইউনিয়ন এর কারিগর পাড়ার কৃষক মো: জসিম উদ্দিন রাজস্থলী-বাংগালহালিয়া-চন্দ্রঘোনা সড়কের পাশে হাতিমারা এলাকায় ৪ একর ৫০ শতক পাহাড়ি জমিতে মাল্টা বাগান সৃজন করেছেন।

গত রবিবার সকালে তাঁর বাগানে গিয়ে দেখা যায় সারি সারি নয়নাভিরাম মাল্টার গাছ। অনেক গাছে মাল্টা ঝুলে আছে। বিগত ৩ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি এই বাগান গড়ে তুলেছেন। পাহাড়ী পরিবেশে এমন দারুন বাগান দেখা দুষ্কর। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে মন জুড়িয়ে যায়।

কথা হয় জসিম উদ্দিন এর সাথে এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ৪ একর ৫০ শতক এই পাহাড়ি কৃষি জমিতে তিনি মাল্টা বাগান গড়ে তোলেন। প্রায় ২ হাজার মাল্টা গাছ তিনি রোপণ করেছেন। এই কাজে তিনি পারিশ্রমিক দিয়ে ২ জন শ্রমিক নিয়োজিত করেছেন। মাল্টা গাছের পাশাপাশি তিনি, তাঁর বাগানে শতাধিক পেয়ারা, বড়ই, লেবু এবং সফেদা ফলের চারাও সৃজন করেছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি বেশ কিছু গাছ হতে মাল্টা বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মতো আয় করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করছেন আগামী বছরে সব কয়টি গাছে ফলন হলে তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন। এইকাজে তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, সবসময় কৃষি কর্মকর্তারা এসে তাঁকে পরামর্শ প্রদান করে থাকেন বলে।

NewsDetails_03

কৃষি বিভাগের কারিগর পাড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক জানান, আমি প্রায়ই তাঁর বাগান পরিদর্শন করি এবং তাঁকে পরামর্শ প্রদান করে থাকি। ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি এতবড় বাগান সৃজন করে আমাদের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন দে জানান, সত্যিই তাঁর বাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সবুজে সবুজে গাছ এবং ফলে ভরে আছে তাঁর বাগানটি। কৃষি বিপ্লবের বাতিঘর হিসাবে কৃষক জসিম এর এই উদ্যোগ আমাদের সকলের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।

তিনি আরোও জানান, কৃষি বিভাগ সবসময় জসিম উদ্দিন সহ প্রান্তিক কৃষকদের পাশে ছিল এবং থাকবে। এইরকম ব্যক্তি উদ্যোগে যদি অনেকে এগিয়ে আসে, তাহলে আমাদের দেশে কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনার দাঁড় উন্মোচন হবে।

আরও পড়ুন