থানচিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক পাহাড় কাটার সত্যতা পেলেন পরিবেশ অধিদপ্তর

NewsDetails_01

বান্দরবানের থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজস্ব জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা সত্যতা পাওয়া গেছে। অনুমোদনহীণ পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রি করায় পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রতিয়মান হয়। সরকারি আইনে কোন প্রকার পাহাড় কাটার নিয়ম নেই। পাহাড় কাটা আইনগত শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সুতরাং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের একথা বলেন, বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আবদুল সালাম।

তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুইদিনের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অধিদপ্তরে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ তদন্ত জন্য নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ শনিবার দুপুরে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আবদুল সালাম সরেজমিনে পরিদর্শনে উল্লেখিত স্থানে পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিন পাহাড় কাটান বিষয়টিন সত্যতা পাওয়া যায়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, পাহাড় কেটে মাটি স্থানীয় ইট ভাটায় বিক্রি করছেন এমন কথার সত্যতা পাওয়া যায়নি। থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বে স্থানীয় এনজিও সংস্থা হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশন এর একটি বহুতল ভবন নির্মান কাজ চলমান সেখানে মেঝেতে মাটি দেয়ার জন্য তাদের বিক্রি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমাকে সেখানে অবস্থান করা স্থানীয়রা বলছে, প্রায় ৪শত ডাম্পার (ট্রাক) গাড়ি করে মাটি নেয়া হয়েছে প্রতি গাড়িতে ১ হাজার ২ শত টাকা করে বিক্রি করার সত্যতা পাওয়া গিছে।

NewsDetails_03

আবদুল সালাম বলেন, পরিবেশে ক্ষতিকারক হিসেবে আমার প্রতিবেদনটি আমাদের অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ মফিদুল আলম দেখভাল করবেন। এই সময় উপজেরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, সহ সভাপতি রেমবো ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের এই নেতার আপন ছোট ভাই থোয়াইপ্রুঅং মারমা। তিনি থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমাকে যে কোন মুহুর্তে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত শুক্রবার বিকালে একটি স্ট্যাটাস দেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকিতে থানচি প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা জীবন সংশয়ে রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

উল্লেখ্য, গত জুন, জুলাই ও আগষ্ট তিন মাস ব্যাপী দুইটি এস্কেভেটার (ভারী যন্ত্র) দিয়ে পাহাড় কাটছিল। পাহাড়টি থানচি বাস ষ্টেশন হতে আমতলী পাড়া যাওয়ার রাস্তায় পাশে।

আরও পড়ুন