পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে বাড়ছে ইকো রিসোর্টের জনপ্রিয়তা

NewsDetails_01

দেশের পর্যটন শিল্পে বাড়ছে নতুন ধরণের ইকো রিসোর্টের জনপ্রিয়তা। পর্যটকরা বলছেন, আধুনিক মানের হোটেলের চাইতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে গড়ে উঠা এসব রিসোর্ট ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয় নিমিষে। এছাড়া এসব রিসোর্ট তৈরিতে ফুটে উঠছে স্থানীয় ঐতিহ্য আর নির্মাণ শৈলি, পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় রক্ষা পাচ্ছে প্রাণ বৈচিত্র্য।

বান্দরবান, রাঙ্গামাটি আর খাগড়াছড়ি পাহাড়ের গড়ে উঠছে ইকো রিসোর্ট। কাঠ, বাঁশ, ছনের উপকরণের পরিবেশবান্ধব ভাবে তৈরি পাহাড়ী রিসোর্ট। প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে গড়ে উঠা এসব রিসোর্টে ফুটে উঠে স্থানীয় ঐতিহ্য আর নির্মাণ কারুকাজ।

তবে, ইট কংক্রিটের আধুনিক মানের হোটেলের চাইতে এসব রিসোর্টে প্রকৃতির অনেক কাছে যাওয়া যায়। পাওয়া যায় প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার এক ভিন্ন আমেজ। তাই ঘুরতে গেলে পছন্দের প্রথমে এসব রিসোর্ট বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা।

পর্যটকরা বলছেন, পাহাড়ের মাঝখানে এত সুন্দর রিসোর্ট পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকতে ভালোই লাগে।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা ফারজানা সুলতানা বলেন, এসব ইকো রিসোর্ট গুলো মন ফ্রেশ করে দেই।

NewsDetails_03

ব্যবসায়িরা বলছেন, পর্যটন এলাকাগুলোতে দিনে দিনে ইকো রিসোর্টের চাহিদা বাড়ছে। ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় থাকায় ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগও বাড়ছে। স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ বাড়ালেও এখাতে এখনো বড় বিনিয়োগ নেই।

নীলাম্বরি রিসোর্টের পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ইকো রিসোর্টেই পর্যটকরা থাকতে পছন্দ করেন, পাহাড়ের যদি আরো ইকো রিসোর্ট হয় পর্যটন শিল্পে বিকাশ ঘটবে।

বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখানে ইকো রিসোর্ট গড়ে উঠলে ব্যবসার প্রসার ঘটবে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সরকার রাজস্ব আদায় করতে পারে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ইকো-রিসোর্টের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে ছুটির দিনে অনেকেই রুম পান না। এসব কক্ষের ভাড়া প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।

বর্তমানে দেশের পর্যটন এলাকাগুলোতে হোটেল মোটেলের বিপরীতে ইকো রিসোর্ট প্রায় ২০ শতাংশ । তাই পরিবেশ রক্ষায় পর্যটন এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণে ইকো রিসোর্টকে গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালায় তৈরি করার পরামর্শ ব্যবসায়িদের।

আরও পড়ুন