বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রকাশ্যে ছিনতাই করে রকি ভাই

পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে

NewsDetails_01

বান্দরবান সদর উপজেলায় একসময় ছিনতাইয়ের ঘটনা শূন্যের কোটায় থাকলেও এখন প্রকাশ্যে ছিনতাই করছে রকি। তার কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেদের কাছে তার নাম “রকি ভাই”। গত ৪ মাস ধরে সুয়ালক এলাকার নব নির্মিত বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় নিয়মিত ছিনতাই করে আসলেও অজ্ঞাত কারনে এই রকি ভাই পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র পাহাড়বার্তা’কে জানায়, বান্দরবানের সুয়ালক ও হলুদিয়া এলাকায় দিন দুপুরে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে পথচারিদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর করে মোবাইল, টাকা, ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় সে, নারীদের করেন শ্লীলতাহানি। এই সময় তার সহযোগী থাকেন আরো বেশ কয়েকজন। ইয়াবা সেবন ও ইয়াবা ব্যবসার অর্থ যোগাড় করতেই ছিনতাইয়ের পথ বেছে নেয় তারা, আর তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। হলুদিয়া এলাকার রাজীব বড়ুয়ার সন্তান এই রকি ভাই।

এই বিষয়ে বান্দরবান শহরের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ি বিশ্বজিত দেব পাহাড়বার্তা’কে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার তিনটায় বান্দরবান হলুদিয়া এলাকায় একটি দোকানে হালকা নাস্তা করতে গেলে হটাৎ একটা ছেলে বাইক নিয়ে এসে আমাকে কোন কারন ছাড়াই মারাত্মক ভাবে আঘাত করে এবং আমার হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে দৌড় মেরে বাইকে উঠে পালিয়ে যায়, আমিও দৌড়ে গিয়ে ছিনতাইকারীর হাত থেকে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেলি এবং ছিনতাইকারী আমার পেটে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে, স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারী বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।

NewsDetails_03

তিনি আরো বলেন, পরে স্থানীয়রা জানায় এই ছিনতাইকারীর নাম রকি। বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাতের বেলায় কেউ বাইক নিয়ে আসলে তাদের কে ধরে টাকা, মোবাইল এবং অন্যান্য জিনিস হাতিয়ে নিয়ে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়। এতো দিন নাকি রাতে ছিনতাই করতো, এখন নাকি দিন দুপুরে প্রকাশ্য ছিনতাই শুরু করেছে রকি ও তার দলের ছেলেরা।

আরো জানা গেছে, এই ছিনতাই করার ঘন্টাখানেক আগে একই এলাকায় এক মেয়ে সাইকেলিস্ট এর মোবাইল ছিনতাই করে এই চক্র। বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গত মাসে রাত ১০টার দিকে কেরানীহাট থেকে মোটরসাইকেলে আসা এক মোটরসাইকেল আরোহীকে অস্ত্র দেখিয়ে সব কিছু ছিনিয়ে নেয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ব্যাপক ভাবে প্রচার হয়।

এই ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম পাহাড়বার্তা’কে বলেন, সুয়ালকের বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিনতাইয়ের বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি, তারপরও আমরা সেখানে পুলিশের টহল টিম বাড়াবো।

আরও পড়ুন