মাটিরাঙ্গায় ঘর পাচ্ছেন ৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার

NewsDetails_01

ঈদের আগেই তৃতীয় পর্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার অর্ধশত পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাচ্ছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার এ পরিবারগুলো। এবারের ঈদটা নতুন ঘরে অন্য রকম আনন্দ দেবে তাদের। ফলে খুশির অন্ত নেই সেসব গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মানুষগুলোর।

আজ মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে শুভ উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসব গৃহ ও জমির দলীল হস্তান্তর করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহাম্মেদ। মাটিরাঙ্গায় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী এ সময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন।

বর্নাল ইউনিয়নে ৪জন, গোমতী ৫জন, তাইন্দং ৪জন, তবলছড়ি ৭জন, বেলছড়ি ৪জন, মাটিরাঙ্গা সদর ৬জন, আমতলী ৫জন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় ১৫ জন সহ মোট ৫০ জনকে দুই শতক জমি সহ ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।

‘মুজিব বর্ষে একটা মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর সারা দেশের ভূমি-গৃহহীন পরিবারকে জায়গাসহ ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

NewsDetails_03

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নকশা ও পরিকল্পনার তুলনায় এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো অনেক সুন্দর, টেকসই ও দূর্যোগ সহনীয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদের আগেই ঘরগুলো হস্তান্তর করার মাধ্যমে তাদের মাঝে আনন্দের নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

জানা যায়, রঙ্গিণ টিনশেডের প্রতিটি একক ঘরে ইটের দেয়াল ও টিনের ছউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। এবারের ঘরগুলো আরো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্মাণ কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাটিরাঙ্গায় বেলছড়ি ইউনিয়নের খেদাছড়া ডিবিপাড়ার বাসিন্দা ইসমত আরা বলেন, কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি নিজেদের একটি ঘর হবে। সেই ঘরে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জায়গাসহ নতুন ঘর পেয়ে সন্তানদের নিয়ে বাঁচার নতুন করে শক্তি পেয়েছি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৫০টি ঘর দুই শতক জমি সহ আজ হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সাথে ২৩৫ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মাণ ও উপকারভোগীদের নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের সাথে উপজেলার যারা সংশ্লিষ্ট তারা যার যার অবস্থান থেকে ভুমিকা রেখেছেন। এই কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

আরও পড়ুন