কোরবানী ঈদেও রাঙামাটির কামার শিল্পীদের দুর্দিন

NewsDetails_01

ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানীর ঈদ। মাঝখানে আর মাত্র কয়েকটা দিন। অন্যান্য বছরের এই সময়ে রাঙামাটির কামার শিল্পীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেলেও এ বছর সেই ব্যস্ততা আর নেই। করোনা কেড়ে নিয়েছে তাদের মুখের হাসি ও সুদিন। অথচ সারা বছরের ধার-দেনা পরিশোধের সময়টাতেই আজ তারা অলস সময় পার করছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে সীমাহীন কষ্ট ও ধার দেনার পরিধি আরো বাড়ছে বলে কামার শিল্পীরা জানায়।

শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার কামার শিল্পী মনোরঞ্জন কর্মকার বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠতো এ শিল্প। তাইতো আমরা প্রতিবছরই কোরবানীর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি। কারন এই সময়ে সারা বছরের ধার-দেনার পরিশোধের সুযোগ থাকে। কিন্তু এবার করোনায় আমাদের সব আশা শেষ হয়ে গেছে।

কামার শিল্পী নন্দন কর্মকার বলেন, সামনে কোরবানীর ঈদ অথচ,কাজ কর্ম নাই। কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে কষ্ট হচ্ছে। তবে, অন্যান্য বছর কোরবানীর সময় দম ফেলার সুযোগ ছিলনা, এবছর তার ছিটেফোটাও নেই। করোনার কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাই অনেকে কোরবানীও দিতে পারছে না। যার কারণে কামারের দোকানেও ভিড় কমে গেছে।

NewsDetails_03

কর্মচারী শম্ভু কর্মকার জানান, দোকানে কাজ কর্ম না থাকায় মালিক বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।

শহরের বিভিন্ন এলাকার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাত-দিন টুং-টাং শব্দ আর নেই। কামার শিল্পীদের দা, ছুড়ি, বটি, চাপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি বানানোর কাজে কোন ব্যস্ততাও নেই। ফলে দোকানের মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারীরাও কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন।

স্থানীয় সূত্র মতে, জেলায় প্রায় দুইশ,র বেশি কামার দোকান রয়েছে। এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার।

আরও পড়ুন