খাগড়াছড়িতে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ সরঞ্জাম নেই: সিভিল সার্জন

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষার কোন সরঞ্জাম নেই। তবে সন্দেহ জনক রোগীদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করে ৩০ বেডের আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সদর উপজেলা ছাড়াও বাকী উপজেলার ক্ষেত্রে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ।

খাগড়াছড়িতে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কোন রোগী পাওয়া যায়নি জানিয়ে সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে বৈঠক করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে মেডিকেল টিম আইসোলেশনের মাধ্যমে তাকে মনিটরিং করবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিমের হটলাইনে কল দিয়ে সহযোগীতা নেয়ার নির্দেশনাও রয়েছে জেলা উপজেলা পর্যায়ে।

NewsDetails_03

এদিকে,বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ৩ ব্যক্তি সনাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির মানুষের মাঝে ভীতি কাজ করছে। খাগড়াছড়ি ও সাজেকগামী পযর্টকদের ওপর প্রভাব পড়েছে এ আতঙ্ক। সাজেক ও খাগড়াছড়ির পযর্টন সংশ্লিষ্ট ব্যবাস প্রতিষ্ঠানে বাতিল হচ্ছে অগ্রীম বুকিং।

সাজেকের খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার জানান, আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখের অগ্রীম বুকিং ছিল। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গত সপ্তাহ থেকে বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে। এতে আনুমানিক ২ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতির কথা জানান তিনি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা এসেছে তা অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেডিকেল টিম ও আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পযর্টকদের আসা যাওয়া নিষেধ কিংবা সীমিত করার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসলে তা অনুসরণ করা হবে।

আরও পড়ুন