খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক ও জেলা প্রশাসক প্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সদিচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ থেকে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ তিন সাংবাদিককে সর্বমোট তিন লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস তাঁর সম্মেলন কক্ষে জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চেকগুলো হস্তান্তর করেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজটুয়েন্টিফোর’র প্রতিনিধি মো: জহুরুল আলম পঞ্চাশ হাজার টাকা, দৈনিক গিরিদর্পণ প্রতিনিধি মো: আবু তৈয়ব এক লক্ষ টাকা এবং প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি শঙ্কর চৌধুরী এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা’র চেক পেয়েছেন।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার দীঘিনালা উপজেলায় কর্মরত দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি পলাশ বড়–য়াকে প্রথমবারের মতো ‘জেলা প্রশাসক প্রেস অ্যাওয়ার্ড ২০২১-২০২২’ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত ‘৯০ বছরের হোসনে আরাকে আর মানুষের বাড়িতে থাকতে হবে না’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জন্য পলাশ বড়ুয়াকে নগদ বিশ হাজার টাকা, একটি সম্মাননা পত্র এবং একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

NewsDetails_03

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাঈদ, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র সাবে সা: সম্পাদক আজিম-উল হক, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও সা: সম্পাদক সৈকত দেওযান, সিনিয়র সাংবাদিক আবু দাউদ, মাছরাঙা টিভি প্রতিনিধি কানন আচার্য্য, প্রথম আলো প্রতিনিধি জয়ন্তী দেওয়ান, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক পলাশ বড়ুয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুদান প্রাপ্ত সাংবাদিক শঙ্কর চৌধুরী।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সদিচ্ছায় ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব (প্রেস)-র দায়িত্ব পালনকালে খুব কাছ থেকে সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অসীম আন্তরিকতা লক্ষ করেছি। বিগত ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে তিনি সরাসরি সাংবাদিকদের হাতে সহায়তার চেক তুলে দিতে পারলেও করোনা’র কারণে গত দুই বছর ধরে তা সম্বব হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানের ট্রস্ট প্রথমে তিনি ১০ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্য উপদেষ্টার অনুরোধে আরো ১০ কোটি টাকা বাড়িয়ে বিশ কোটি টাকা প্রদান করেন।

সাংবাদিকরা বলেন, প্রথম বারের মতো জেলা প্রশাসক প্রেস অ্যাওয়ার্ড চালু করা, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস’র এমন উদ্যোগ সাংবাদিকদের আগামীর কর্মজীবনে অনুসন্ধানী সংবাদ সংগ্রহে অনুপ্রেরণা যোগাবে। জেলা প্রশাসক পরিবর্তন হলেও এটি যাতে পরবর্তীতে চলমান থাকে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অন্তত তিনজনকে এ সম্মাননা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। তাহলে তরুণ সাংবাদিকরা আরো অনুপ্রাণিত হবে। সাংবাদিকরা আরো বলেন, আর্থিক মূল্যায়ন মূখ্য বিষয় নয়, সম্মাননার সহিত মূখ্য বিষয়। পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে যেসব নিউজ অনলাইন, প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রকাশিত হয়, সেটিকেও বিবেচনার আনার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব রাখেন।

আরও পড়ুন