জনবল সংকটে দুই বছরেও চালু হয়নি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রীনিবাস

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ। এই বিদ্যাপিঠে পড়েন জেলার সকল উপজেলার প্রান্তিক এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা। এতে পাহাড়ি-বাঙ্গালি সকলের সমন্বয়ে মুখরিত কলেজ আঙ্গিনা।

এই খাগড়াছড়ির প্রাচীন বিদ্যাপিঠের জন্য তৈরি করা হয়েছে কলেজ আঙ্গিনায় একটি ছাত্রী নিবাস। কিন্তু কেউ থাকতে পারেনা এই নিবাসে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে জেলা শহরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে হয় ছাত্রীদের।

বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভাড়া করে থাকতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয় প্রান্তিক এলাকা থেকে আসা ছাত্রীরা। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় পরিবারের লোকজনকে।

এদিকে নির্মাণ কাজ শেষ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবন বুঝে নেওয়ার দুই বছর পার হলেও চালু হয়নি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রীনিবাসটি। ব্যবহার না হওয়ার কারনে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনের আসবাবপত্র। চালু না হওয়ায় বেশি বিপাকে পড়েছে দুর্গম এলাকার ছাত্রীরা।

প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রীনিবাসটি নির্মাণ করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২০ সালে ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

NewsDetails_03

খাগড়াছড়িতে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ। বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। এই জেলার ৯ টি উপজেলা ছাড়াও রাঙ্গামাটির ২ উপজেলার ছাত্রীরা এই কলেজে পড়তে আসে। দুর্গম এলাকার ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা দেওয়ার জন্যই নির্মাণ করা হয় ১৩০ শয্যাবিশিষ্ট ছাতড়ীনিবাস।

এই ছাত্রীনিবাস দুই বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এই ভবনে প্রতিটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের শয্যা, টেবিলসহ আসবাবপত্র রাখা হলেও সেখানে থাকছেনা কোনো ছাত্রী।

ছাত্রীনিবাসটি চালু না হওয়ায় জেলার দুর্গম উপজেলা গুলো থেকে এসে কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। ভাড়া নেওয়া ঘরে থেকে কলেজে পড়ছে। এতে করে ছাত্রীদের সময় এবং অর্থ দুইটাই নষ্ট হচ্ছে। অনেক পরিবার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ার কারনে সঠিকভাবে পড়ালেখা করাতে পারছেনা।

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জানান, আমাদের কলেজের ছাত্রীনিবাসটি কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে কিন্তু এখনো চালু হয়নি। আমাদের বাড়ি অনেক দুরে হওয়ায় জেলা শহরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকি। এতে আমাদের মাস শেষে অনেক খরচ পরে।

ইসরাত জাহান আরও জানান, আমাদের কলেজের ছাত্রীনিবাসটি চালু হলে অনেক উপকার হতো। আমাদের সময় এবং অর্থ দুইটাই কমে যেতো। আমাদের পড়ালেখার মান আরো ভালো হতো। সঠিক সময়ে সব কাজ করতে পারতাম। পরিবার আমাদের খরচ চালাতে অনেক কস্ট হয়। চাত্রীনিবাসে থাকলে আমাদের খরচও অনেক কম হতো।

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মিছবাহুদ্দীন আহমদ জানান, সরকারি কলেজের ছাত্রীনিবাসটি নির্মাণ কাজ শেষে হস্তান্তর করেছে দুই বছর হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এটি পরিচালনার জন্য যে জনবল প্রয়োজন তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এদিকে কলেজের এমন সামর্থ্য নেই যে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় কর্মচারী নিয়োগ করবে। এজন্য ছাত্রীনিবাসটি চালু করা যাচ্ছেনা।

আরও পড়ুন