পাহাড়ে র‌্যাবের ব্যাটালিয়ন স্থাপন পরিস্থিতিকে জটিল করবে : চার পাহাড়ি সংগঠন

NewsDetails_01

ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি সচিব চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা আজ শুক্রবার ৮ নভেম্বর ২০১৯ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে র‌্যাবের একটি ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব -১৫) স্থাপন করা হলে তা এ অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরো বেশী জটিল করে তুলবে।

সম্প্রতি গৃহীত র‌্যাবের পার্বত্য ব্যাটালিয়ন স্থাপনে সরকারের জনবল অনুমোদনের সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়ে উক্ত চার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা হলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা জনিত নয়; তাই গণতান্ত্রিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মৌলিক দাবি পূরণ না করে একটি নিপীড়ক বাহিনীর ব্যাটালিয়ন স্থাপনের জন্য গৃহীত অযৌক্তিক ও বাস্তবতা-বিবর্জিত পদক্ষেপ পার্বত্যবাসীকে বিস্মিত করেছে।

NewsDetails_03

চার সংগঠনের নেতারা আরো বলেন,‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সব অপরাধ সংঘটিত হয় তা রাজনৈতিক ও জাতিগত দমন পীড়নের অংশ হিসেবেই হয়ে থাকে এবং সে সব অপরাধের কোন বিচার হয় না। গত ২১ বছরে ইউপিডিএফের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থককে রাজনৈতিক কারণে খুন করা হয়েছে; অথচ অপরাধী খুনীদের আইনের আওতায় না এনে বরং তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া হয়ে থাকে।’’ পাহাড়ে র‌্যাবের ব্যাটালিয়ন স্থাপনের কারণে এই দমন পীড়নের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে বলে তারা মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামে র‌্যাবের ব্যাটালিয়ন গঠনের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমনে অর্থ ব্যয় না করে সেই অর্থ পাহাড়িদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক নিয়োগ অথবা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক খাতে খরচ করতে সরকারকে পরামর্শ দেন।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আশু রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ, সকল দল ও সংগঠনকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচী ও কর্মকা- চালানোর অধিকার প্রদান এবং ইউপিডিএফের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী-সমর্থক খুনের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

আরও পড়ুন