মানিকছড়িতে ভিজিডি কার্ডের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ১নং মানিকছড়ি ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায় নারীদের ভিজিডির তালিকায় নাম দেওয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যসহ এক গ্রাম সর্দারের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ১নং মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার গ্রাম সর্দার মো. আমির হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মো. শফিকুল ইসলাম ভিজিডির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে একই এলাকার গ্রাম সর্দার মো. আমির হোসেন কহিনূর বেগম’র কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা চান। পরে তাঁকে ৩ হাজার টাকা, দুই কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেন। কিন্তু ২১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকায় কহিনূর বেগম’র নাম না থাকায় তিনি ক্ষুব্ধ হন।

গতকাল রবিবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমান নগর এলাকার অভিযোগকারী মোসা. শাহিদা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকেও ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ৩ হাজার টাকা নেন। পরে জানতে পারেন, তালিকায় তাঁর নামও নেই।

NewsDetails_03

একই ধরনের অভিযোগ করেন ঐ গ্রামের আরও বেশ কয়েকজন নারী। তবে তাঁরা এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি। ঐ গ্রামের শারমিন আক্তার বলেন, বিগত সময়েও এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গ্রাম সর্দার মিলে বিভিন্ন সময়ে তাঁর লোকজন দিয়ে সরকারি সহায়তা প্রদানে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে গ্রাম সর্দার অভিযুক্ত আমির হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম’র যোগসাজস্যে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নিয়ে ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম’র কাছে জমা দিয়েছেন। টাকা নিয়ে ভিজিডি কার্ড করে দেয়ারও আশ্বাস দেন ইউপি সদস্য। ভিজিডি কার্ড না হওয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর টাকা ফেরত দেয়ারও কথা ছিল কিন্তু এখনও দেয়নি।

তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।

সংশ্লিষ্ট ১নং মানিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো.শফিকুর রহমান ফারুক জানান, ভিজিডি কার্ড করার জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। যাঁরা তালিকাভুক্ত হয়েছেন তাদের কেউ এ ধরনের অভিযোগ করতে পারবেন না। কার্ড না পেয়ে এ ধরনের অভিযোগ অনেকে করতে পারেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তিনি স্বীকার করেছেন। ফলে তার সম্মানি ভাতা থেকে ভুক্তভোগী চারজনকে ৫ হাজার টাকা করে প্রদানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন