লামায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু : প্রচারণা না থাকায় রোগীদের সাড়া কম

NewsDetails_01

এই প্রথম বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষে সারা দেশের ১০টি জেলা সদর হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মত গত বৃহস্পতিবার এ উপজেলায়ও কার্যক্রমটি চালু করা হয়। তবে প্রচার প্রচারণা না থাকায় উদ্বোধনের প্রথম দুই দিনে এ স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে রোগীদের তেমন একটা সাড়া মেলেনি। দুই দিনে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন মাত্র ১৭ জন রোগী। প্রচারণার অভাবে সচেতন জনগনেই জানেন না বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার চালুর কথা।

জানা যায়, সরকারি হাসপাতালে ইনন্টিউিটশনাল প্র্যাকটিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাইলটিং ভিত্তিতে সরকারি চিকিৎসকদের দ্বারা সরকার নির্ধারিত ফ্রির বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ কার্যক্রমে জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ডাক্তারগণ বন্ধের দিন ব্যতিত বিকাল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হাসপাতালে বসেই সরকার নির্ধারিত ফিতে ব্যক্তিগত চেম্বারের মত রোগী দেখবেন। আর এ সেবায় প্রফেসর চিকিৎসকের ফি হচ্ছে ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপকের ফি ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক পাবেন ৩০০ টাকা। আর এমবিবিএস চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা।

তবে কার্যক্রমটি নতুন হওয়ায় উদ্ভোধনের দ্বিতীয় দিনে রোগীদের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। উদ্বোধনের দিন ১২জন রোগী টিকিট নিয়ে চিকিৎসা নিলেও দ্বিতীয় দিন শনিবার মাত্র ৫ জন রোগী চিকিৎসা নেন বলে জানান টিকেট ক্লার্ক আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের।

NewsDetails_03

সেবা নিতে আসা রোগী সুস্মিতার মা দিপু প্রভা বড়ুয়া জানায়, সুস্মিতা গত দু তিন ধরে জ্বর ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন। তাই লোকমুখে শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। অপর রোগী হালিমা বেগম বলেন, আমার ঠান্ডা, জ্বর ও কাঁশি হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত ফ্রি দিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে একটু হলেও স্বল্পখরচে ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। এ উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান রোগী হালিমা বেগম।

উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে রোগী দেখেন ডা. মো. শহীদুল ইসলাম ও ডা. সাজিনাতুন মরুয়া। তারা বলেন, দ্রুত তম সময়ে কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় এখনো জনগন বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে তেমন অবগত নন। বিধায় স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে।

কম রোগী আসার বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাঈন উদ্দীন মোরর্শেদ বলেন, এটা নতুন একটি বিষয়। দ্রুততম সময়ে কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় প্রচার প্রচারণায় মাইকিং করা সম্ভব হয়নি। তবে সামনের দিনে প্রচার প্রচারণায় মাইকিং করা হবে। এতে করে রোগী বাড়বে বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালিক ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন