লাশটি আসলে কে দেখবে ?

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মো. শাহীন (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী কিল্লাছড়া পাড়ার মো. রফিকের মুরগির খামারে শনিবার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এটি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নাকি হত্যা এই বিষয়ে এলাকার মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ থাকার কারন, অন্যদিকে লাশ নিয়ে দুই থানার টানাটানিতে আজ রোববার ময়নাতদন্ত্র ছাড়ায় লাশ দাফনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশ্ন উঠেছে লাশটি আসলে কে দেখবে?

সূত্র জানায়, গত ১০-১২ দিন ধরে শামীম রফিকের মুরগির খামারে শ্রমিকের কাজ করে আসছিল। শনিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। পরে উদ্ধার করে কাছাকাছি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষনা করেন। শামীম বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তের দাবী জানান স্থানীয়রা। মৃত শামীম আজিজনগর ইউনিয়নের কালামিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. জাহাংগীর আলমের ছেলে।

আরো জানা গেছে, গত দু বছর আগেও ওই খামারের আরেক কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উল আলম। তাই এটি নিছক স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে খামারের মালিক মো. রফিক জানায়, মুরগিকে খাবার দিতে গেলে অসাবধানতা বশত ছেড়া বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পৃষ্ট হয় শামীম। পরে তাকে দ্রæত উদ্ধার করে পদুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই, সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

NewsDetails_03

মৃত শামীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমি পদুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে লোহাগাড়া থানার পুলিশ আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে ছেলে শামীমের লাশ বুঝিয়ে দেয়,তার কোন ময়নাতদন্ত হয়নি।

এ বিষয়ে ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. শফিউল আলম জানায়, খামারের মালিক রফিক না জানিয়ে কর্মচারী শামীমের লাশ লোহাগাড়ার পদুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

তবে লোহাগাড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জাকের হোসেন মাহমুদ জানান, ঘটনাস্থল ও মৃতের বাড়ি লামায়। সেহেতু ময়না তদন্ত করা হবে, নাকি হবেনা- তা লামা থানা পুলিশ বুঝবেন।

এদিকে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. খালেদ হোসেন বলেন, মুরগির খামার কর্মচারী শামীমকে লোহাগাড়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেহেতু লোহাগাড়া থানা পুলিশ বিষয়টি দেখবেন।

আরও পড়ুন