অবশেষে সম্মেলনের পথে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগ

NewsDetails_01

গঠনতান্ত্রিক মেয়াদ উত্তীর্ণের প্রায় চার বছর পর খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিগত ২০১৫ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে টেকো চাকমাকে সভাপতি ও জহির উদ্দিন ফিরোজকে সা: সম্পাদক করে গঠিত কমিটির ১২১ সদস্যের বেশিরভাগের ছাত্রত্ব যেমন চলে গেছে। একইভাবে তিন ভাগের একভাগ এরিমধ্যে বিয়েশাদি করে পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী বনে গেছেন। এই জংধরা কমিটিকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন পর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো: দিদারুল আলমের সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সা: সম্পাদকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন নেতাদের উপস্থিতিতে গত শনিবার রাতে অনানুষ্ঠানিক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান জেলা কমিটির সভাপতি ও সা: সম্পাদক ছাড়াও সবকটি উপজেলার সভাপতি-সা: সম্পাদকরা দলের সুবাদে এখন রীতিমতো স্বচ্ছল। তাঁরা রাজনীতির চেয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশি মনোযোগী। জেলা ও উপজেলার চিহ্নিত কিছু নেতা সম্পর্কে জমেছে অনেক মানুষের অভিযোগও। তাই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব প্রকৃত ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়ার তাগিদ দেন সংশ্লিষ্টদের।

NewsDetails_03

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ জানান, সামনের সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ সভায় জেলার প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলনের দিন-তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। একই সাথে যত শিগগির সম্ভব জেলা ছাত্র লীগের সম্মেলনের ওপর জোর দেয়া হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা জানান,কমিটির বেশিরভাগ নেতার ছাত্র রাজনীতি করার বয়স পেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নিয়মে অনেকের ছাত্রত্বও নেই। তাই সম্মেলন করে করে বিদায় নেয়া সময়ের দাবি।

জেলা আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান মো: দিদারুল আলম জানান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র নির্দেশনায় জেলা ছাত্রলীগসহ সবকটি ইউনিটের হালনাগাদ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গঠনতান্ত্রিক নিয়মে সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই নেতৃত্ব ঠিক করা হবে। তিনি জানান,খাগড়াছড়ি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পরামর্শও নেয়া হচ্ছে পরবর্তী নেতৃত্ব তৈরির স্বার্থে।

আরও পড়ুন