সিমেন্টের খুঁটি গেড়ে রাস্তা বন্ধ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

NewsDetails_01

সিমেন্টের তৈরি বড় বড় খুঁটি পুঁতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একটি রাস্তা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে দাবী স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা বলছেন, ৩০-৪০ বছর পুরানো রাস্তা এটি। অভিযুক্তদের দাবী দু’পায়ের রাস্তা কয়েকবছর আগে নিজেরাই প্রশস্ত করেছেন এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা করতে যানবাহন চলাচল বন্ধে খুঁটি গেড়েছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার রশিক নগর গুলছড়ি হিন্দুপাড়া-রাবার বাগান রাস্তায় ৷ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র নাথের মেয়ে রেনু বালা নাথ (৫৫) বলেন, “১৯৮০-১৯৮১ সালে আমরা এদেশে এসেছি। দীর্ঘদিন যাবৎ এ রাস্তায় চলাচল করি। আমরা আমাদের রাস্তাটি চাই”

NewsDetails_03

স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক গৌরাঙ্গ শর্মার ছেলে কানু শর্মা (৩৮) বলেন, “মূলতঃ এটা আমাদের অনেক আগের রাস্তা। তবে রাস্তাটিতে সবসময় টুকিটাকি ভাড়া (মোটরসাইকেল) মারি। উন্নয়ন বোর্ডের বাগান পর্যন্ত রাস্তাটি ক্লিয়ার ছিল, এখন ওটা বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটা আমাদের ক্লিয়ারের দরকার।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ৩০-৪০ বছর পুরানো রাস্তা এটি। হঠাৎ করে সেলিম এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসে রাস্তাটিতে খুঁটি পুঁতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এতে স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেলিম এন্ড ব্রাদার্স’র ম্যানেজার মতি ত্রিপুরা জানান, “ইতোপূর্বে রাস্তাটি ছিল দু’পায়ের। কয়েকবছর আগে আমরা নিজেরাই রাস্তাটি প্রশস্ত করেছি। প্রায়সময় আশেপাশের লোকজনের গরুছাগল এসে রাস্তার পাশের বাগানের গাছপালা নষ্ট করে। তাছাড়া অনেকে এ রাস্তাটি দিয়ে মাটি পরিবহন করে আসছিল। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষার্থে খুঁটি গেড়েছি। তবে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলে কোন বাঁধা নেই। একটি কুচক্রী মহল আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে।”

১ নম্বর মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমার কাছে গুলছড়ি হিন্দুপাড়া এলাকার লোকজন এসে এ বিষয়ে অভিযোগ (মৌখিক) করেছে। ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের এইচবিবি করা কাউন্সিল রাস্তা কে বা কাহারা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।

আরও পড়ুন