আওয়ামী লীগের ক্ষমতা পেয়েই টাকা হাতিয়ে নেন শফিউল আলম !

আলীকদমের রাজনীতি

NewsDetails_01

সদ্য সমাপ্ত হওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ইউপি সদস্যের ভোট কারচুপি করে মেম্বার বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও কেন্দ্র খরচের নামে বিভিন্ন মেম্বার প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনকালীন সময়ে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগ কতৃক মনোনীত ৬নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র আহবায়ক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম প্রকাশ শফি মেম্বারের বিরুদ্ধে। এনিয়ে দুই প্রার্থী ও প্রার্থীর লোকজন শফিউল আলম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ায়, টাকা ফেরত না দেওয়ায় লাঞ্ছিত করেন উপজেলার এই পদবীধারী নেতাকে।

গত সোমবার দুপুরে উপজেলায় জসিমের চায়ের দোকানে শফিউল আলমকে কাছে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী আবু নাঈম ও তার লোকজন টাকা ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে বসবেন বলে কৌশলে পালিয়ে যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মারমা।

ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নেওয়া আবু নাঈম বলেন, শফিউল আলম কেন্দ্র আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা, দলীয়ভাবে কেন্দ্রের সবকিছু তাহার দায়িত্বে, তিনি যেমন চাই তেমন হবে শফিউল আলম নিজে আমার আত্মীয় স্বজনের কাছে এসে এসব কথা বলে এবং তিনি আমাকে বিজয়ী করতে করণীয় যা করার করবে, তার জন্য কেন্দ্র খরচ লাগবে বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পরে সে অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৫০ হাজার টাকা,পরে ৫ হাজার ও বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন অজুহাতে দিতে বলেছেন ৩০ হাজার টাকা। জায়গা বিক্রির ১লক্ষ টাকা তিনি (শফিউল আলম) দেবেন না বলে জানিয়েছে। কিন্তু তিনি শুধু আমার কাছ থেকে নেননি বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়েছেন।

NewsDetails_03

ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে অংশগ্রহনকারী আরেক প্রার্থী মোঃ সেলিম বলেন, শফিউল আলম আমাকে বলেছেন আমাকে (শফিউল আলম) কেন্দ্র আহবায়ক করেছে এবং ভোট কারচুপি থেকে শুরু করে সবকিছু তাহার নিয়ন্ত্রণে হবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে আপনাকে জেতা হবে, তার জন্য নৌকার জন্য ভোট ছিড়ার পাশাপাশি আপনার জন্যও ছিড়া হবে, তার জন্য তাকে (শফিউল আলম)কে ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরে চুক্তি অনুযায়ী ৫০ হাজার আমার জামাতা ও ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে দিই। পরে বিভিন্ন ধাপে ও বিভিন্ন জনকে তার নির্দেশে দিতে হয়েছে সবমিলিয়ে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং খরচ করিয়েছেন আরও এক লক্ষ টাকা।

আরেক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মোঃ আবছার বলেন, আমার কাছ থেকে কেন্দ্র খরচ বাবদ ৫০ টাকা নিয়েছে। মোহাম্মদ আবছারের এক আত্মীয় বলেন, আমরা টাকা দিতে চাইনি, জেলা যুবলীগের এক নেতার কথায় দিয়েছি।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, টাকা দিয়েছে কোন প্রমাণ আছে?। ষড়যন্ত্র হলে কেন টাকা ফেরত দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ও এতগুলো লোক ও প্রার্থীরা কি মিথ্যে বলছেন? উত্তরে তিনি বলেন, তাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু লেনদেন আছে।তাই বসব বলছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মারমা বলেন, দুয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছে ও টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সবার টাকা ফেরত দিতে হবে এবং দলীয় ভাবে অর্পিত দায়িত্বকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন