৪ জঙ্গি একমাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বান্দরবানে !

NewsDetails_01

আনসার আল ইসলামের আদর্শ অনুসারে কথিত জিহাদী গ্রুপ গঠন করে শারীরিক ও জিহাদি প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলার সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় গমন করে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেয়।

পরবর্তী সময়ে তারা সেখান হতে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় একটি জায়গা লিজ নেয় তারা। সেখানে কফি শপের আড়ালে প্রায় এক মাসব্যাপী কথিত জিহাদের প্রস্তুতির লক্ষ্যে শারীরিক, চাপাতি পরিচালনা ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।

আজ (১১ অক্টোবর) সকালে ৪ জঙ্গি গ্রেফতারের পর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আনসার আল ইসলামের চার ‘সদস্য’কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: মো. শাহীন ওরফে ওমর, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. হানিফুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুন।

NewsDetails_03

সেসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ জব্দ করা হয় বলেও জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে। বলা হয়, গতকাল (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ‘জঙ্গিদের’ গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে গ্রেফতারকৃতারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও টার্গেট বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসে ঘটনাস্থলে মিলিত হয়।

গ্রেফতারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ফেসবুক মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে নিষিদ্ধ সংগঠনের আদর্শ ও সত্ত্বাকে সমর্থন, প্রচার ও নির্দেশনা প্রদান পূর্বক জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপ করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়।

এদিকে আটককৃত চার জঙ্গির বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। তাদেরকে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

আরও পড়ুন