রোহিঙ্গা ভোটার করার তালিকায় জড়িত নন সাগর

NewsDetails_01

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে প্রেরণের কারনে নিদারুন কষ্টে থাকা একটি বৃদ্ধ পিতা-মাতা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজ সন্তানের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাঙ্গামাটির স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ষাটোর্দ্ধ পিতা বাবুল চৌধূরী ও মাতা সন্ধ্যা চৌধুরী ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, চলতি বছরের গত ১৬ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এ রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভু‌ক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান বিষয়ক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাদের সন্তান সাগর চৌধূরীকে চার নাম্বার আসামী করা হয়। অথচ তাদের সন্তান বিগত ২০১২ সালেই নির্বাচন কমিশনের পি-ইআরপি এবং এফআইএনআইডিসি প্রকল্পের চাকুরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলো। তারপর থেকে সে গাজীপুরে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে আসছে মন্তব্য করে সাগর চৌধুরী বৃদ্ধ পিতা-মাতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ২০১২ সালে চাকুরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে ২০১৮ সালে কিভাবে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানে ভোটার তালিকা বানাতে পারে আমাদের সন্তান।

NewsDetails_03

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্তির মতো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত মূল হোতাদের কৌশলে রক্ষা করার লক্ষ্যে সাগর চৌধূরীদেরকে আসামী করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা সংবাদ সম্মেলনে।

সংসারের একমাত্র সন্তানটি বর্তমানে জেলে থাকায় পরিবারের সদস্যদের মুখের আহারের জোগান দিতে চরম কষ্টে থাকতে হচ্ছে মন্তব্য করে সাগরের পিতা বাবুল চৌধুরী বলেন, আমার সন্তান নিজে নির্দোষ বিধায় মাননীয় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলো। আমার সন্তান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের মুক্তির দাবি জানিয়ে বৃদ্ধ পিতা-মাতা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরাও চাই প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাক, কিন্তু মূল হোতাদের বাদ দিয়ে আমাদের সন্তান সাগর চৌধুরীকে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সাগর চৌধুরীর পিতা বাবুল চৌধুরী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় সাগরের মা ও আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন